বাংলাদেশের সকল পৌরসভাকে ঐক্যবদ্ধ পরিবার হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তারা গণতান্ত্রিক, বিকেন্দ্রিকরণ ও সুশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে আরও গতিশীল, কার্যকর, সুষ্ঠ এবং জনগণবান্ধব করে গড়ে তুলতে পারে।
আমাদের মিশন হল নিম্নলিখিত লক্ষ্যগুলি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পৌরসভাসমূহ ক্ষমতায়নে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা :
১. পৌরবাসীর নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখা।
২. সুদৃঢ় ও কার্যকর গণতান্ত্রিক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সমর্থন করা।
৩. উন্নত ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন ও প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভার কার্যকারিতা বাড়ানোর ব্যবস্থাকে বাস্তবায়ন করা।
৪. অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।
৫. নির্বাচিত প্রতিনিধি, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ পরিচালনা করা।
৬. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পৌরসভাগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
৭. বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের সময় বাসিন্দা, প্রশাসন, জাতীয় সেবা প্রদানকারী সংগঠন, সরকারি সংস্থা, এনজিও, দাতা সংস্থা, গণমাধ্যম এবং পৌরসভাগুলির মধ্যে সুসংহত সম্পর্ক গড়ে তোলা।
৮. নীতি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া এবং সুশাসনের পক্ষে সমর্থন করা।
৯. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম পদ্ধতি ব্যবহার এবং দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে জ্ঞানের আদান-প্রদান সহজতর করা।
১০. জাতীয় সরকার এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরবিরোধী সার্কুলার ও নীতি সংস্কার করা।
১১. বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন শাখার সাথে সমন্বয়কারী ও সহায়ক হিসেবে কাজ করা।
১২. আমাদের নেটওয়ার্ক বজায় রাখা এবং পৌরসভা ও সংস্থার স্বার্থে কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সমর্থন ও সংস্থানগুলি সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশের সকল পৌরসভাকে ঐক্যবদ্ধ পরিবার হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তারা গণতান্ত্রিক, বিকেন্দ্রিকরণ ও সুশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে আরও গতিশীল, কার্যকর, সুষ্ঠু এবং জনগণবান্ধব করে গড়ে তুলতে পারে।
আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য:
- পৌরবাসীর নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখা।
- পৌরসভার অধিকার, স্বার্থ ও সুযোগ- সুবিধা তত্ত্বাবধান , প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা।
- পৌরসভাকে শক্তিশালী করার জন্য পৌরসভার জনবল, অর্থ ও ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনের মান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
- দেশে-বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ।
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ সৃষ্টি করে পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নীত করা।
- প্রশাসন, রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা সংস্থা, গণমাধ্যম ও পৌরসভাগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলি গ্রহণ করা।
- নীতি প্রণয়ন, সংস্কার কার্যক্রম, অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে সুশাসন ও কেন্দ্রীকরণ বিলুপ্তকরণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
- তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং দেশে ও বিদেশে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ও বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।
- বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী বিভিন্ন সার্কুলার/পরিপত্র, বিধিমালা বা সংশ্লিষ্ট আইনগুলিকে আপ-টু-ডেট আনতে সরকারের সাথে সমঝোতা, সংশোধন ও সংযোজন, দাবি উপস্থাপন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।
- বিভিন্ন দাতা সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্থার আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করে পৌরসভা সমিতি ও পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
- বাংলাদেশের সকল পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং ডাটা ব্যাংক (তথ্য প্রযুক্তি) স্থাপনের মাধ্যমে পৌরসভার মধ্যে তথ্য বিনিময় করা।
- প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে পরিকল্পিত শহর/নগর গঠনে অবদান রাখা।
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সংস্থা সম্পর্ক স্থাপন, সদস্যপদ লাভ, তথ্য ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান অথবা অর্জিত অভিজ্ঞতা পৌরসভা উন্নয়নে কাজে লাগানো।
- পৌরসভার কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত না হলে সেবা প্রদান ব্যাহত হয়; যা শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠনে বড় বাধা। তাই পৌরসভার সক্ষমতা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সহায়তা খাতে মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবি (ব্যবস্থাপনা) খাত থেকে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
- ভৌগলিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত পৌরসভার সীমিত আয়া দিয়ে পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসরকালীন বকেয়া মেটানো প্রায় অসম্ভব। এই জন্য, সেখানে অর্থ জমা এবং বিনিয়োগ করে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কেন্দ্রীয় গ্রাচুইটি তহবিল গঠন করা হয়।
- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০১৯ সালে কার্যকর হলেও, গত ১২ বছরে নতুন আইনের আলোকে কর্ম নিয়োগ বিধি সহ অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় বিধিমালা করা যায়নি। ফলে প্রয়োজনীয় নিয়মের অভাবে অনেক সময় কাজে সমস্যা দেখা দেয়। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনের আওতায় সকল বিধি-নির্দেশ অবিলম্বে গঠন করা দরকার।
- পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০১৯ ও পৌর কর্মচারী বিধিমালা অনুসরণসহ প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তাদের গ্রেড বিবেচনা করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
- পৌর কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি করতে নিম্নলিখিত সুপারিশ বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হল:
- জমি উন্নয়ন কর থেকে ২% এর পরিবর্তে ৫% এবং জমি নিবন্ধন, জন্ম নিবন্ধন ফি এবং পৌর উন্নয়ন কার্যের টেন্ডার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ পৌর কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হিসাবে সরবরাহ করা আবশ্যক।
- তৃতীয় তফসিলের দফা (৪) এ ভবন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের জন্য পৌর কর্পোরেশন কর্তৃক ফি গ্রহন করা হবে। তবে, ৭ তলা বা তার চেয়ে বেশি ভবন থেকে প্রাপ্ত ফি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারি খাতে জমা হচ্ছে, যা পৌর আইন ২০১৯ এর সাথে বিরোধী। পৃথক কমিটির মাধ্যমে যদিও পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়, তবুও সম্পূর্ণ ফি পৌর কর্পোরেশনে জমা দেওয়া যেতে পারে।
- পৌরসভা যেহেতু ১০০% সেবা প্রতিষ্ঠান; সেহেতু পরিকল্পিত নগরায়ণ, ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, পৌরসভার অনাবাসিক সরকারি জমি ও বরাদ্দকৃত জমি, খোলা মাঠ, খোলা খেলার মাঠ, পুকুর ও জলাশয় এবং অন্যান্য স্থানীয় সম্পদ এর তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা পৌরসভাকে দেওয়া হোক এবং পৌরসভার সীমার মধ্যে জেলা পরিষদের অনাবাসিক জমি নগর পরিকল্পনাবিদের দায়িত্ব হবে। বসবাসের প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলে একদিকে আয়ের সুযোগ বাড়বে আবার অন্যদিকে জমির ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। পৌর ও সরকারি জমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হলে পৌরসভার স্থায়ী আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি করা যেতে পারে। এতে পৌরসভার স্থায়ী আয় সৃষ্টি হবে।
- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের আইন নং ৫৮) এর ধারা ১০০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সরকার এস.আর.আর. এবং আইন নং ২৪৬/২০১৪ অনুসারে স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্স সিডিউল প্রণয়ন করেছে। উক্ত ট্যাক্স সিডিউলের ১৬ নং এবং ১৭ নং এর ধারা ৬ যথাক্রমে ভাড়া বা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালিত ও মালিকানাধীন যানবাহনে বার্ষিক কর এবং বি.আর.টি.এ. রেজিস্ট্রেশনকৃত পৌর এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনের নিবন্ধন ফি’র একটি অংশ পৌর কর্পোরেশনে দেওয়া হব। এ বিষয়টি নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন।
- সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি ব্যবস্থাপনা ও ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভার অনুমোদন সহ মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নের নির্দেশ থাকা উচিত। সরকারি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন গ্রহণ ও নির্ধারিত ফি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে ভূমি উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের পাশাপাশি রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করা এবং সে অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
- যেসব বিশেষ জমিতে পৌরসভা অতীতে বাজার, দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করেছে। উক্ত স্থানগুলো স্থায়ীভাবে পৌরসভার অনুকূলে বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
- সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অনুচ্ছেদ ৭.২.৬-এ বলা কৌশলগত নীতি হল "জাতীয় কর নীতিতে একটি সমন্বিত কর বন্টন ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যার মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় স্তরের মধ্যে রাজস্ব ভাগ করা হবে।" মাঠ পর্যায়ে কৌশলগত নীতি বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত আয় বণ্টন নির্দেশনা জারি করা। প্রতিটি পৌর এলাকার মধ্যে সরকার কর্তৃক উৎপন্ন মোট রাজস্বের ৪০% একটি নির্দিষ্ট অংশ পৌরসভাকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেওয়া হয়।
- আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পৌরসভাগুলোকে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে অস্থায়ী কার্যকলাপ পরিচালনা করলেও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পৌর আইনের ৫৪ ধারায় প্রতিটি পৌরসভায় সুশাসন নিশ্চিত করতে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের বিধান রয়েছে। ১১৬ ধারা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা যেতে পারে।
- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে পৌরসভার ভূমিকা অস্বীকার্য। এই পৌরসভায় যোগ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের মতো তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। জনগণের পছন্দসই সেবা সহজে এবং দ্রুত প্রদানের জন্য অনলাইনভিত্তিক সেবা অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
- জনগণকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পৌর কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডভিত্তিক কার্যালয় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ।
- দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ নন-মোটরযান যথা: ভ্যান ও রিকশা লাইসেন্স খাত থেকে আয় করে আসছিলো। আজ ভ্যান ও রিকশা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে রূপান্তরিত হয়েছে। এই খাত থেকে বিভিন্ন কারণে পৌরসভা আয় হারাচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনা করে পৌরসভাকে ইজি-বাইক রেজিস্ট্রেশনের অধিকার দেওয়া এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হল।
- পৌরসভার বার্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। একটি পৌরসভা অথবা কয়েকটি পৌরসভা একত্রে হয়ে মান নির্ধারণ করে ক্লাস্টার আকারে ডিপিপি প্রস্তুত করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ।
- মোবাইল বেস স্টেশন (টাওয়ার) থেকে কর আদায়ের সাথে সম্পর্কিত বিধি বা নীতি স্পষ্টভাবে প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
- পৌর রাস্তায় স্থাপিত বিদ্যুৎ খুঁটির জন্য কর নির্ধারণ করা এবং পৌর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে আবাসিক হারে আদায় করা উচিত।
- স্ট্যান্ডার্ড ট্যাক্স সিডিউলের ক্রমিক নম্বর ১৫ এবং ৬ অনুযায়ী পেশাগত ফি আদায় নিশ্চিতকরণের জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পৌর এলাকার মধ্যে যেসব মহাসড়কের যান চলাচল করে সে সকল যানবাহনে কর আরোপ করা যেতে পারে।
- পৌরসভা যেহেতু ১০০% সেবা প্রতিষ্ঠান, সেহেতু পরিকল্পিত নগরায়ণের উদ্দেশ্যে পৌরসভার দ্বারা প্রদেয় ভ্যাট ও আয়করকে সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার নীতিমালা প্রণয়ন ও জাতীয় নীতি সংস্কারে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন-ম্যাবের- মতামত গ্রহণ সহ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলিতে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন-ম্যাবের- প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তকরণ।
- পূর্ণাঙ্গ ‘ম্যাব সচিবালয়’ (মেয়র-কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনসহ বরাদ্দকৃত স্থানে ম্যাব রিসোর্স সেন্টার, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন) স্থাপনের জন্য ম্যাব এর পক্ষে একটি প্রতীকী মূল্যে ১ (এক) বিঘা জমি দান।
- পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-ম্যাব-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবি (ফুটিং) খাত, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও এমএবি অফিস ভাড়া এবং সংশ্লিষ্ট খাতে বছরে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ।
- পৌর আইনে টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সকল ক্ষেত্রে সৃষ্ট বাধা দূর করে এবং নতুন সেবা খাত সৃষ্টির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে পৌরসভাগুলোর আর্থিক স্বচ্ছলতা আনয়ন।
- নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী সেবা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহায়তা খাতে তহবিল বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ।
- নগরায়ণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে পৌরসভাগুলোকে সহায়তা করার জন্য একটি স্বতন্ত্র উন্নয়ন ইউনিট গঠনের প্রয়োজন।
- জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর কার্যকরের ফলে পূর্বের টুলসা বেতন ব্যবস্থায় বেতন অনেক বেড়ে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে এবং করোনা মহামারীর প্রভাবে পৌরসভার আয় অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পৌরসভাগুলোতে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট কাটাতে পৌরসভার লোকসানের বিপরীতে সরকারি সহায়তা প্রদানের পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- সরকার কর্তৃক পৌর এলাকার মধ্যে প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ভাতা কর্মসূচী বাস্তবায়নে পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও সুপারিশের স্বীকৃতি।
- আধুনিক বর্জা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে জমি বরাদ্দের পাশাপাশি আবর্জনা প্লান্ট নির্মাণ সহ মানব বর্জা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
- পৌরসভার কার্যক্রমে গতিশীলতা মেয়রদের জন্য জীপ বরাদ্দসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
- একটি পৌরসভা একটি অপরিহার্য সেবা প্রতিষ্ঠান। অতি জরুরি অবস্থা ছাড়া পৌরসভার মতামত সাপেক্ষে যে কোনো পৌরসভায় যানবাহন তল্লাশি করা যেতে পারে। তা না হলে জনগণ তাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
- পরিষ্কার পানির ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি নিয়োগ ব্যবস্থার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক প্লান্ট এবং একটি আধুনিক শিশু পার্ক নির্মাণ করা জরুরি।
- পৌরসভায় সেবা কার্যক্রম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকাদান কার্যক্রম, রোড ডিভাইডার নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা, রোড ডিভাইডারে বৃক্ষ রোপণ, শিশু পার্ক ব্যবস্থাপনা, রায় প্রদান, পানির বিল ও হোল্ডিং ফি বিল, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধির কারণে নিয়মিত স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মিত স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করা সম্ভব না হওয়ায় চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী দিয়েই কাজ চলছে। সেবা প্রদানের স্বার্থে এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হল। সময়ের সাথে সাথে পৌরসভাগুলোকে গতিশীলভাবে চালানোর জন্য নতুন পদ সৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। গঠন অনুযায়ী জনবল নিয়োগের বিধান থাকলে চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী জনশক্তি বাতিলের সুযোগ রয়েছে। অন্যথায় সেবা বিঘ্নিত হবে।
- পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিদিনের ভিত্তিতে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত।
- প্রতি বছর মেয়রদের সাথে মতামত বিনিময় এবং পেরিলাভার বিভিন্ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত থাকার জন্য 'মেয়র সম্মেলন' এর ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
- পৌরসভায় পূর্বের জমাকৃত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য যৌক্তিক সমাধান গ্রহণ।
- পৌর এলাকার লঞ্চঘাট/নৌকা ঘাটের ইজারা ব্যবস্থাপনা পৌরসভার পক্ষে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ।
- পৌরসভা একটি সেবা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে পানি সরবরাহ ও রাস্তা আলোক সেবাসহ জরুরি সেবা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় বলে পৌর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের পাওনা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
- পৌরসভায় ব্যবসায়ী লাইসেন্স জারির ক্ষেত্রে আয়কর সনদ বাধ্যতামূলক না করা।