জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদ মর্যাদার কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানতে নারাজ পৌর মেয়ররা।
তারা চাচ্ছেন, বরাবরের মতোই নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের অধীনে থাকবে। রোববার পৌর মেয়রদের সংগঠন ‘মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-(ম্যাব)’ এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায়।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ম্যাব নেতারা বলেন, ১৯৯২ সালের পৌরসভা চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। মেয়রদের সঙ্গে পরামর্শ করে পৌরসভার নতুন আইন চূড়ান্ত করার দাবিও জানানো হয় সেখানে।
নতুন পৌরসভা আইনের খসড়ায় মেয়াদ শেষে প্রশাসকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগ প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবয় আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। পুরো বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের দাবি আদায়ে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাব সেক্রেটারি জেনারেল ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ লিখিত বক্তব্য পড়েন।
এতে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এ পৌরসভার ৬৪ ধরনের সুনির্দিষ্ট কাজ রয়েছেন। এর বাইরেও অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। অথচ বলা হচ্ছে কাজের গতি বাড়াতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ শাখা জারি করা পত্র থেকে তারা জানতে পারেন, ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদ মর্যাদার কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, এই ধরনের উদ্যোগ পৌরসভার কাজের গতি বাড়ার পরির্বতে কমিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে চায়, তাহলের আইনের ৭৪ ধারা অনুযায়ী পূর্ণকালীন এবং পৌর পরিষদের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাবের নির্বাহী সভাপতি ও সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল গনিসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।